স্কুল ছাত্রী অপহরণের আড়াই মাস পর উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশণ (পিবিআই) ময়মনসিংহ। ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের এনায়েতপুর (খানপুর) থেকে বুধবার সকালে অপহৃত স্কুলছাত্রী শিপা আক্তারকে (১৫) উদ্ধার করা হয়।সে সোহাগী ইউনিয়ন উচচ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস জানায়, স্কুলছাত্রী শিপা আক্তার স্কুলে আসা যাওয়ার পথে একই গ্রামের আঃ মালেকের ছেলে রুমান প্রায়ই উত্যক্ত করত। বিষয়টি শিপা তার বাবাকে জানালে তিনি রুমানের বড়ভাই ও চাচাদের জানিয়ে বিচার প্রার্থী হন। এতে রুমান স্কুল ছাত্রীর প্রতি বিক্ষুব্দ হয়ে বিদ্বেষভাব পোষন করতে থাকে।
গত ৩১ অক্টোবর,২০২১ শিপা স্কুল থেকে বাড়ী ফেরার সময় স্কুলের গেইটের সামনে থেকে বিক্ষুব্দ রুমান তার কতক সহযোগিদের সহায়তায় তাকে জোর করে সিএনজিযোগে অপহরণ করে নিয়ে যায়। শিপা আক্তারের ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে সিএনজির পিছু ধাওয়া করলেও ব্যর্থ হয়। পিবিআই আরো জানায়, শিপার বাবার ধারনা রুমান ও তার সহযোগিরা মিলে তার মেয়ের মারাত্বক ক্ষতি সাধন করছে। এ ঘটনায় বাবা সজিম উদ্দিন বাদী হয়ে রুমান ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে ঈশ্বরগঞ্জ থানার পিটিশন মামলা নং-২১৫/২০২১, ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সং/০৩) এর ৭/৩০ বিজ্ঞ আদালতে দায়ের করেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ বিল্লাল মিয়া বলেন, পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাসের দিক নির্দেশনায় ও তত্ত্বাবধানে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অপহৃতার অবস্থন সনাক্ত পুর্বক বুধবার সকালে অভিযান চালিয়ে ঈশ্বরগঞ্জের এনায়েতপুর (খানপুর) রুমানের বাড়ী থেকে স্কুলছাত্রী শিপা আক্তারকে উদ্ধার করা হয়েছে। এসপি জনাব গৌতম কুমার
বিশ্বাস বলেন, এটি একটি চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্রী অপহরণের ঘটনা। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে মামলাটির তদন্তভার পিবিআই ময়মনসিংহকে প্রদান করা হলে অপহৃতাকে উদ্ধারের লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। এক পর্যায়ে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বুধবার স্কুলছাত্রী শিপা আক্তারকে উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত স্কুল ছাত্রীর বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার আরো বলেন, রুমানের সাথে স্কুল ছাত্রী শিপা আক্তারের কয়েক মাস যাবত প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে স্কুল ছাত্রী রুমানের সাথে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে ঘর-সংসার করে আসছে। শিপা আক্তারকে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে উপ¯’াপন করা হলে সে স্বেচ্ছায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সং/০৩) এর ২২ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে।